১। বিলাসী গুণে উৎকৃষ্ট ও উচ্চ ফলনশীল। এর গাছ সবুজ, খাড়া, মাঝারি লম্বা।
২। এর মুখী খুব মসৃণ, ডিম্বাকার হয়। সিদ্ধ মুখী নরম ও সুস্বাদু।
৩। সিদ্ধ করলে মুখী সমানভাবে সিদ্ধ হয় ও গলে যায় এবং গলা চুলকানী মুক্ত অর্থাৎ এ কচুতে ক্যালসিয়াম অক্সালেট এর পরিমাণ কম থাকায় গলা চুলকায় না ।
৪। জীবনকাল ২১০-২৮০ দিন।
৫। সাধারণ অবস্থায় এর ফলন হেক্টরপ্রতি প্রায় ২৫-৩০ টন। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৪০ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: মধ্য-মাঘ থেকে মধ্য-ফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি)।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: বীজ রোপনের ছয় মাস পর আগাম ফসল সেপ্টেম্বর (মধ্য ভাদ্র) মাস থেকে মুখী সংগ্রহের উপযোগী হয় এবং ঐ সময় গাছের পাতা হলুদ বর্ণ ধারণ করতে থাকে এবং ধীরে ধীরে মারা যায়। কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ে মুখী সংগ্রহ করা হয়।
৩ । সার ব্যবস্থাপনা
: এলাকাভেদে প্রয়োজন হয় প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণ গোবর বা খামারজাত সার, টিএসপি, জিপসাম, জিংক সালফেট ও বরিক এসিড এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি জমি প্রস্তুতির শেষ চাষের সময় ছিটিয়ে প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক ইউরিয়া ও এমওপি সমান দুই কিস্তিতে বীজ রোপনের ৩৫-৪০ দিন এবং ৬৫-৭৫ দিন এর মধ্যে পার্শ্ব প্রয়োগ পদ্ধতিতে উপরি প্রয়োগ করতে হবে।